কলাপাড়ায় রাখাইন অধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় প্রবারনা উৎসব পালন | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস বুলেটিনের ব্যাখ্য প্রচার সেক্টরভিত্তিক আগাম কার্যক্রমের ওপর কর্মশালা কলাপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’র মতবিনিময় সভা কলাপাড়ায় অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের পর এবার ইউসিসি’র পকেট কমিটি গঠন! তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গণ’ধ-র্ষ’ণ মামলা আমতলীতে পুষ্টিসম্মৃদ্ধ মিষ্টি আলুর জাত সম্প্রসারণে কৃষক মাঠ দিবস কলাপাড়া উপজেলা পর্যায়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা কলাপাড়ায় গ্রামীণ জনপদের ৮৮ কিলোমিটার পাকা সড়কের বেহাল দশা আমতলীতে বজ্রপাতে হাফেজ ছাত্রের মৃ-ত্যু আমতলীতে প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে! আমতলীতে পুষ্টিসম্মৃদ্ধ মিষ্টি আলুর জাত সম্প্রসারণে কৃষক মাঠ দিবস
কলাপাড়ায় রাখাইন অধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় প্রবারনা উৎসব পালন

কলাপাড়ায় রাখাইন অধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় প্রবারনা উৎসব পালন

চঞ্চল সাহা: কলাপাড়ায় রাখাইন অধ্যুষিত ২৩টি পাড়ায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব প্রবারনা পূর্নিমা পালিত হয়েছে। প্রবারনা শব্দটি পালি শব্দ থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ অনুরোধ, মিনতি, বর্ষবাস, ত্যাগ, শিষ্টাচার, ক্ষতিপূরন, তৃপ্তি, নিমন্ত্রন বা আহবান। বর্ষবাস শেষে বুদ্ধ সকল ভিক্ষুগন একত্রিত হয়ে তাদের ভুল-ত্রুটি একে অপরের কাছে প্রকাশ করা এবং প্রায়চিশ্চেতের আহবান করা। এছাড়া ভুলবসতঃ কোন আপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এটাই হচ্ছে প্রবারনার মূল কথা।

এদিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে প্রতিটি পাড়ায় রবিবার সকাল থেকে প্রার্থনাসভা, পিন্ডদান, প শীল, অষ্টশীল, ধর্মসভা, প্রদীপপুজা এবং রাতে ফানুস (আকাশ প্রদীপ) উড়ানো কর্মসূচী পালন করেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রতিবছর প্রবারনা উৎসব পালনের জন্য অন্ততঃ এক সপ্তাহ আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি। তবে রাখাইন সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষের আর্থিক সংকট এবং সরকারী সাহায্যের অপ্রতুলতার কারনে দিনটি তাদের মত করে পালনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

এ ব্যাপারে ধুলাসার ইউনিয়নের বেতকাটাপাড়া ধর্মবিজয় বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মংচো তালুকদার জানান, বর্তমান দ্রব্যমূল্যর বাজারে প্রতিটি প্যাগোডায় ৫’শ কেজি চাল সরকারী সাহায্যে হিসেবে দেয়া প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করছেন তিনি। তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে ১টন করে আবেদন করে এখনো পাননি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পৌর এলাকা সংলগ্ন চৈয়াপাড়া এলাকার অধিবাসী চিংদামু মাতুব্বর জানান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সেলক্ষ্যে, প্রবারনা উৎসবে সকল ধর্মালম্বী মানুষদের নিমন্ত্রন করা হয়। সে হিসেবে খরচও কম নয়। এসম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকাংশের আর্থিক অচ্ছলতা অনুষ্ঠানের অন্তরায়।

তবে এদিনে এ সম্প্রদায়ের মানুষ সাধ্যানুযায়ী তাদের ঘরে ঘরে বিভিন্ন প্রকার পিঠা, পায়েস এবং ভাল খাবারের আয়োজন করেন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!